বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন: কারণ, প্রভাব ও সমাধান
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলো অতিবৃষ্টি, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগ। এই ছবিতে ফুটে উঠেছে মানুষের দুর্ভোগ ও পরিবেশ সংকটের বাস্তব চিত্র।
খরা, অতিবৃষ্টি ও নদীভাঙনের মতো জলবায়ু সংকটে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরাসরি প্রভাব ফেলছে কৃষি, স্বাস্থ্য ও জনজীবনে।
ভূমিকা
বাংলাদেশে বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসাবে সবথেকে বিবেচিত বিষয় হলো আবহাওয়া পরিবর্তন। ২১ শ শতাব্দীর পর থেকে এটা নানা ভাবে বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটা দেশ হিসাবে পরিচিত—এর ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতার কারণে। চলমান বছর গুলোতে বন্যা,নদী ভাঙন,খরা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা শুধু প্রকৃতির উপর নয় সাথে সাথে প্রত্যেক মানুষের উপর এর প্রভাব ফেলছে। আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য মানুষের কৃষি,স্বাস্থ্য ও জীবিকার উপর ভয়াবহতা নেমে আসছে। অর্থাৎ বর্তমানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে একটা বড় বাধা হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন এটা শুধু পরিবেশ নয় মানবজীবনের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রতিরোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ সমূহ প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীর জন্য খুবই কঠিন একটা সমস্যা। এই সমস্যা প্রতিটি অঞ্চল এবং জনগোষ্ঠীর উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা আইপিসিসি থেকে জানা গেছে যে,পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে ১৯ শতকের শেষ থেকে। গ্রীনহাউস গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। মানবসৃষ্ট কারণ হিসাবে যেগুলো রয়েছে তা হলো শিল্পায়ন, জ্বালানি অর্থাৎ কয়লা এবং তেল,বন উজার করণের জন্য গ্রিনহাউজ গ্যাস ব্যাপকভাবে বাড়ছে।
কৃষি থেকেও অনেক মিথেন এবং নাইট্রাস নির্গত হচ্ছে। পরিবেশ সংকটের কারণে বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। খরা এবং বন্যার মতো চরম আবহাওয়া বেড়ে গেছে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে যার জন্য অনেক প্রাণী এখন বিলুপ্তির মুখে রয়েছে। পানির সংকটের জন্য কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, আবার অনেকাংশে বন্যার জন্যও কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত বন্যার জন্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। প্যারিস চুক্তির মতামতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মাঝে রাখার লক্ষ্যে দেশগুলো এক মত পালন করেছে।
বাংলাদেশের জলবায়ুর সাম্প্রতিক পরিবর্তন
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকায় সাম্প্রতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা ও ভূমিধস দেখা যাচ্ছে। সকল এলাকাগুলোর মাঝে বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকা ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে তাপপ্রবাহে সারা দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছায় প্রায় ৪৩.৮°C-এ, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১৬° বেশি। অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এবং শিশুদের ও অনেক সমস্যার মাঝে পড়তে দেখা যায়। চলমান বছর গুলোতে গরমের প্রভাব বেশি হওয়ার কারণে কৃষি জমিতে উৎপাদন অনেক টা কমে গেছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক ক্ষতিকর।
আবহাওয়ার পরিবর্তন এর জন্য শ্রমিকদের মাঝে অনেক সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বন্যা,ভূমিধস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৮০০,০০০ শিশুর জীবন প্রভাবিত হয়েছে। আবার,২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ভারত অতিরিক্ত পানি ছাড়ার কারণে এবং ভারী বৃষ্টি পাতের জন্য প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকার মানুষ সমুদ্রের লবণাক্ত পানির জন্য ফসলি জমি চাষ করতে অনেক সমস্যায় ভুগছে। গবেষণায় দেখা গেছে,এমন হারে পানি বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় প্রায় ১৭%-১৮% জমি তলিয়ে যেতে পারে। এমন হলে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ নিরীহ হয়ে পড়বে। অতিরিক্ত বৃষ্টি,খরা ও লবণাক্ততার কারণে বিশ্বব্যাংক বলছে ২০৫০ সালের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ২৮-৩০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের বৃদ্ধি ও প্রভাব
সময়ের সাথে সাথে দিন দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। যা প্রত্যেকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা তাদের ফসলে ভালো ফলন পাচ্ছেন না। তারা যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন চাষ করার জন্য কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে তারা ফসল উৎপাদন করে তারা বেশি লাভবান হতে পারছেন না। দিন দিন এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। এমন সমস্যা চলতে থাকলে একসময় দেখা যাবে কৃষি উৎপাদন অনেক কমে যাবে। এজন্য বলা যায় কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
অতিবৃষ্টি ও বন্যা
অতিবৃষ্টি হলো বাংলাদেশের বৈশ্বিক উষ্ণতা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ও ক্ষতিকর প্রভাব গুলোর মাঝে একটা। প্রতিবছর বর্ষাকালে যে বৃষ্টি দেখা যায় তা এখন চরম মাত্রায় অনিয়মিত ভাবে অতিবৃষ্টি তে পরিণত হয়েছে। চলমান বছর গুলোতে নিয়মিত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অর্থাৎ দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা এবং গ্রামে নদী ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিধস হওয়ার আরেকটা কারণ হলো অতিবৃষ্টি। অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি নরম হয়ে যায় এবং ভূমিধস বেড়ে যায়। বন্যার কারণে শিশু ও মায়ের বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা যায়। বন্যার পানি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই পানির জন্য কলেরা,ডায়রিয়া, আমাশা এবং জলবাহিত রোগের সৃষ্টি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দিন দিন দুর্যোগ বেড়েই চলেছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব পড়ছে।
কৃষি ও অর্থনীতিতে প্রভাব
বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ। বর্তমানে বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশ গুলোর মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির জন্য কৃষি কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিনির্ভর দেশগুলোতে মোট জাতীয় আয়ের একটা অন্যতম অংশ আসে কৃষি থেকে। কৃষি পণ্য হিসাবে পাট,চা,কফি,ধান এগুলো বাইরের দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকেন। এজন্য বলা হয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি কাজ একটা মূল্যবান কাজ হিসাবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে কৃষি খাত লাখ লাখ মানুষের কর্মস্থান। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কৃষি একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষি জমির অনেক ক্ষতি হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে। কৃষি উৎপাদন কম হলে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাবে। জলবায়ু সংকট জন্য ফসল উৎপাদন কম হলে নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকেরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হয়। কৃষি শুধু মাত্র উৎপাদনের মাধ্যম নয় এটা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্য ও জনজীবনে প্রভাব
স্বাস্থ্য ও জনজীবনের মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। একটা দেশকে উন্নত করার জন্য সে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন টা বেশি জরুরি। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন বা অবনতি সরাসরি সমাজ, অর্থনীতি, শিক্ষা ও জীবনমানকে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সামাজিক,অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত সকল দিকে প্রভাব পড়ে। এজন্য একটা দেশের উন্নতির জন্য দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও জনজীবন সুস্থ থাকা অনেক বেশি জরুরি। সুস্থ মানুষ বেশি কাজ করতে পারে যার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। অসুস্থ ব্যক্তি তার কাজের সময় নষ্ট করে এবং তাকে দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি করা যায় না। এজন্য সুস্থতা বেশি জরুরি। সুস্থ থাকলে সে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারবে এবং সেটা জনজীবনের উপর প্রভাব ফেলবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ
বর্তমান বিশ্বে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট। বাংলাদেশ জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮ যেখানে বলা হয় জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির কথা। আন্তর্জাতিক চুক্তি অর্থাৎ প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে জলবায়ু কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর সহায়তায় জলবায়ু সংকট এর প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মোকাবিলায় সরকার অনেক গুলো উদ্যোগ নিয়েছে।
এটি পরিবর্তনের জন্য সরকার ৬ টি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব ফান্ড ২০০৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। সরকার বাংলাদেশ কে প্যারিস চুক্তির অংশ হিসাবে জাতীয় ভাবে ২০২১ সালে আপডেটেড জমা দিয়েছে। অবশেষে বলা যায় যে, এটি মোকাবিলার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সচেতন হলেই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলোর ও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য শক্তি, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি ইত্যাদি হস্তান্তরের উদ্যোগ নিতে হবে। সেটার জন্য বেসরকারি এবং সরকারি সবাই কে একসাথে কাজ করতে হবে। তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভাবে অনেক সহযোগিতা পেয়েছে এই কার্যক্রম নিয়ে। সরকারি উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা গুলো ও পরিবেশ রক্ষা কার্যক্রমে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে যার জন্য সকল পরিবেশ এখন প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ না করে যুক্তি পরামর্শের মাধ্যমে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে আনা।
ভবিষ্যৎ করণীয় ও প্রস্তুতি
পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে এজন্য আমাদের নিজেদের মানসিক ভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবথেকে বড় কথা খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। এজন্য সকলে মিলে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সুপরিকল্পনা করতে হবে। সবার সচেতন থাকতে হবে। ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তাহলে দুর্যোগের মাত্রা সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো।
কৃষি,পানি,স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো খাতে উন্নত প্রযুক্তি চালু করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রস্তুতি আজ থেকেই নিতে হবে কারণ আগামীকাল এর জন্য অপেক্ষা করলে একদিন সময় কমে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর একটা পৃথিবী উপহার দেওয়ার জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলার কৌশলই হবে টেকসই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।
উপসংহার
আবহাওয়া সংকট সকল দেশের জন্য অনেক বড় একটা সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান যৌথ ভাবে করতে হবে কারণ এটা সারা পৃথিবীর সমস্যা। সাধারণ জনগণ একসাথে হয়ে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এখন থেকেই সচেতন হতে হবে তাহলে আগামী প্রজন্ম একটা বাসযোগ্য পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। এজন্য এখন থেকে নিজের দায়িত্ব নিতে হবে না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।মিলেমিশে কাজ করলে টেকসই ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। মানবসভ্যতায় টিকে থাকার প্রশ্ন এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের দেশসহ বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সংকট বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এজন্য সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আশা করি এই আলোচনায় বাংলাদেশে পরিবেশ সংকট প্রভাব সম্পর্কে আপনি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। পরিবেশ-সংক্রান্ত আরও আপডেট পেতে আমাদের ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url