শীতে মানুষের জীবনযাত্রা ও সমস্যা: কারণ ও সহজ সমাধান

শীতের আগমনে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রায় আসে নানা পরিবর্তন। কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া ও রূক্ষ আবহাওয়া যেমন সৌন্দর্য আনে, তেমনি সৃষ্টি করে বহু চ্যালেঞ্জ। শীতের তীব্রতা মোকাবিলা করে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন সচেতনতা, সঠিক পোশাক, পুষ্টিকর খাবার ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন। এই আর্টিকেলে জানুন শীতকালের জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্র, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সহজ সমাধান।
শীতকালে মানুষের জীবনযাত্রা ও দৈনন্দিন সমস্যার প্রতিনিধিত্বকারী শীতের একটি প্রফেশনাল দৃশ্য
শীতের ঋতুতে মানুষের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের ধরণ ও দৈনন্দিন কাজের ওপর বড় প্রভাব পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়া যেমন আলস্য ও ধীরগতি বাড়ায়, তেমনই বাড়িয়ে দেয় স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে শিশুরা ও বয়স্করা তীব্র শীতজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন। শীতের প্রকোপ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন পুরো আর্টিকেলটি।

ভূমিকা

বাংলাদেশে পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। কিন্তু, কার্তিক-অগ্রহায়ন মাস থেকেই শীত অনুভূত হতে থাকে। শীতকাল বাংলাদেশে প্রকৃতির এক ভিন্ন রূপ নিয়ে আসে। চারদিকে কুয়াশায় ঢাকা থাকে।গাছের পাতা থেকে, টিনের চাল থেকে শিশির বেয়ে পড়ে টপ-টপ করে। শীতের সকালে চারদিকে আনুষ্ঠানিকতা বিরাজ করে। গ্রাম ও শহরে কিছুটা ভিন্ন হলেও আমেজের দিক থেকে শীতকালটা প্রায় একই।

জীবনযাত্রার পরিবর্তন

শীতকালে জীবনযাত্রার পরিবর্তন বলতে মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস, কাজকর্ম, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, আচরণ ইত্যাদির পরিবর্তনকে বোঝায়। ঠান্ডা আবহাওয়া, অধিকতর কম তাপমাত্রা ও কুয়াশার কারণে দৈনন্দিন কাজগুলোতেও অনেক পরিবর্তন আসে। শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। বাহিরে কনকনে ঠান্ডার কারণে সারাদিন এক ধরনের আলসেমি ভাব আসে। শীতের তীব্রতা থেকে বাচঁতে মানুষ বেশির ভাগ সময় উষ্ণ জায়গার অবস্থান করে।

বাহিরে চলাফেরা কমে যায়। ফলে, রাস্তাঘাট বিভিন্ন সময় ফাঁকা থাকে। চারদিকে কুয়াশা থাকার কারণে যান-বাহন চলাচলের গতিও কমে যায়। শীতে প্রকৃতিও রূক্ষ রূপ ধারণ করে। হিমেল হাওয়ায় মানুষের শরীরে আসে রূক্ষতা, প্রকৃতিতে এক ধরনের রূক্ষ ভাব বিরাজ করে। গাছের পাতা ঝরে যায়। প্রকৃতি হয় রিক্ত। শিশির শীতের সকালকে কিছুটা সজীব করে তুললেও সূর্য মামা জাগার সাথে সাথে শিশির পালিয়ে যায়। তারপরও শীতের নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে। যা জীবন যাএার মানকেও প্রভাবিত করে।

পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস

শীতকালে প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের পোশাক ও খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।শীতের পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ-
 
★পোশাকঃ- শীতে পোশাকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি হলো “লেয়ারিং”। অর্থাৎ, অধিক স্তরে পোশাক পরা। প্রথমে নরম, সুতির বা কটনের পোশাক পরিধান করা। যা শরীরকে উষ্ণ ও গরম রাখতে সাহায্য করে। দ্বিতীয় স্তরে উলের সুয়েটার পরিধান করা। যা তাপ ধরে রাখে এবং শরীরে কমফোর্ট ভাব এনে দেয়। আর সর্বশেষ স্তরে জ্যাকেট। যা শরীরকে ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও হাত,পা, মাথা, গলা গরম রাখার জন্য টুপি, গ্লাভস, মোজা ও মাফলার ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, খুব টাইট পোশাক না পরে নরম সুতির বা উলের পোশাক বেছে নিলে শীতে আরাম বজায় থাকে।

★খাদ্যাভ্যাসঃ- শীতের খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখা প্রয়োজন যা উষ্ণতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। যেমন- মাছ, মাংস,ডিম,ডাল ইত্যাদি। তাছাড়াও আদা, রসুন, মরিচের মতো খাবারগুলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে, শরীরে তাপ প্রবাহ হয় এবং শীত প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। শীতে চা বেশ উপকারী। আদা চা, হারবাল চা, তুলসি চা, গরম দুধ ও মশলা চা শরীরকে গরম রাখে। এছাড়াও- কমলালেবু, পেয়ারা, মাল্টা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শীতকালে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে সাধারণত তৃষ্ণা কম লাগে। সুতরাং আমাদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার দিকে খেয়াল রাখা। তা না হলে শরীরে নিজের অজান্তেই পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি,সঠিক পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে শীতের সময় সুস্থ থাকা সহজ হয়ে যায়।

ঘুমের ধরণ

শীতকালে ঘুমের ধরণ অনেকটাই পাল্টে যায়। বাহিরে ঠান্ডা আবহাওয়া ও তাপমাএা কমে যাওয়ার কারণে মানুষ সকাল ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে। শীতের দীর্ঘ রাত শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটায়। যার ফলে গভীর ঘুমের প্রবনতা দেখা দেয় এবং সকালে ঘুম ভাঙতে কষ্ট হয়। তাছাড়া দিনের আলো কমে যাওয়ায় অধিকাংশ সময় ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম অনুভূতি হয়। বাহিরে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। উষ্ণ কম্বল বা হিটারের আরামে মানুষ প্রয়োজনের থেকেও বেশি সময় ধরে বিছানায় অবস্থান করে। শীত যদিও আমাদের আরামদায়ক ঘুমের জন্য ভালো তবুও নিয়মিত ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা আবশ্যক। তাই, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে জাগা এগুলো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা

শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তারমধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি অন্যতম। শীতের তীব্র ঠান্ডার ফলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয়। শীতের সময়ের সবচেয়ে প্রচলিত ভাইরাস হচ্ছে ফ্লু যা ঠান্ডা পরিবেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষকে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত করে। ঠান্ডায় অনেকের আবার হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কারন, ঠান্ডা বাতাস শ্বাস-নালীকে সংকুচিত করে ফেলে।

অনেক সময় ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে গলা ব্যাথা হতে পারে। শীতের এই রূক্ষতার ফলে ত্বকেও আদ্রতার ঘাটতি হয়। যার কারণে ত্বক ফেটে যায় বা চুলকানি দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে মাথা ব্যাথা ও নাক বন্ধের মতো উপসর্গের সৃষ্টি হতে পারে। যারা আথ্রাইটিস রোগী তাদের হাটু বা জয়েন্টর ব্যাথা বেড়ে যায়। ঠান্ডা মৌসুমে এলার্জিক সমস্যার প্রকোপ দেখা দেয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় দীর্ঘ সময় বাইরে থাকলে শরীরের তাপমাএা মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। ফলে, হাইপোথারমিয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং, ঠান্ডা জনিত এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে সর্বদা উষ্ণ পরিবেশে অবস্থান করা জরুরি।

দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব

শীতকালে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তারমধ্যে সবার আগে চোঁখে পড়ে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকে। শীতকালে দৈনন্দিন কাজকর্ম অনেকটা ধীরগতির হয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হয় এবং বিছানা ছাড়তে অনীহা দেখা দেয়। শীতের সময় মানুষ চা, কফি, সূপ ইত্যাদি খাবারের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখায়। ফলে, রান্না-বান্নায় ও পরিবর্তন আসে।

পরিবহনের ক্ষেত্রে ও শীতকাল অনেক প্রভাব ফেলে। সকালের কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হয় না ফলে যানবাহন ধীরগতির হয়ে পড়ে এবং দূর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। শীতকাল সামাজিক ও বিনোদন মূলক প্রভাবও বিস্তার করতে সক্ষম৷ ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে মানুষ বেশির ভাগ সময় ঘরে সময় কাটায়। এ সময় শীতকালীন বা পারিবারিক উৎসব বেশি উদযাপিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, গরম পানির ব্যবহার, হিটারের ব্যবহার, গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে জ্বালানি খরচও বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি দেখা যায় যে, শীতকাল স্বাস্থ্য, কাজকর্ম, চলাচল সর্বত্র প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

দরিদ্র মানুষের অতিরিক্ত ভোগান্তি

শীতে দরিদ্র মানুষ নানা ধরনের অতিরিক্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশে শীতের সময়টায় আনন্দের চেয়ে বেদনাই বেশি হয়। এদেশের বেশিরভাগ মানুষই গরিব। বেশিরভাগ লোকেরই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় নেই। অনেক দরিদ্র পরিবার শীতে পর্যাপ্ত পরিমান উষ্ণ কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারে না। ফলে তাদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত অসুখ বেড়ে যায়।

শীতের তীব্রতায় ও গরম কাপড়ের অভাবে অনেক দরিদ্র লোক মারাও যায়। দরিদ্র মানুষদের জন্য শীতকালে খাদ্য সংকটও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়ায়। ঠান্ডা পরিবেশে খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু দরিদ্র মানুষেরা প্রায়ই খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না যার ফলে অনাহারে তাদের মধ্যে দূর্বলতা দেখা দেয়। দরিদ্র মানুষের বাসস্থানের সমস্যাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভাঙা বাসস্থানে শীত প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক দরিদ্র মানুষ বাসস্থানের অভাবে রাস্তায় থাকতে বাধ্য হয়। যার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।

শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ স্বাস্থ্যঝুঁকি

★শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ- শিশুদের সাধারনত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা পুরোপুরি শক্তিশালী না হওয়ায় তারা ঠান্ডাজনীত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শিশুরা বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও এলার্জিক সমস্যায় বেশি ভুগে। যেসব শিশুদের হাঁপানি রয়েছে তীব্র ঠান্ডা বাতাসে তাদের শ্বাসকষ্ট জনীত সমস্যা চলে আসে৷ ফলে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।

★বয়স্কদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিঃ- শীতে বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বেড়ে যায়। আবহাওয়া অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়। এতে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, ফ্লু ও শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং সেগুলো বয়স্কদের ক্ষেত্রে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। শীতে রক্তনালী সংকুচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। তাই শীতে বয়স্কদেরও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।

সমস্যা মোকাবিলায় করণীয়

শীতকালে ঠান্ডা জনিত সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ত্বকে শুষ্কতা ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়ায় মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো মোকাবিলা করার জন্য কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ। শীতকালে শরীরে পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতকালে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শীতকালে তৃষ্ণা কম লাগার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতঃপর শরীরকে উষ্ণ রাখতে গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। যা ঠান্ডার সমস্যা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বক ফেটে যায়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্বকে হালকা তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। সর্বোপরি, এগুলো মেনে চললে শীতকালীন সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।

উপসংহার

শীত ঋতু বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ঋতু। শীত যেমন তার কুয়াশার চাদর ও শান্ত নিরবতা নিয়ে আসে তেমন করে নীরব ভাবেই বিদায় নেয়। এ ঋতুর প্রাচুর্যে ঘরে ঘরে যেমন আনন্দের বন্যা নিয়ে আসে তেমনি দুঃখের জ্বালাও সহ্য করতে হয়। আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়েই শেষ হয় শীতকাল। আগমন ঘটে বসন্তের।
বাংলাদেশে শীত ঋতু যেমন সৌন্দর্য, কুয়াশা আর নীরবতা দিয়ে প্রকৃতিকে বদলে দেয়, তেমনি মানুষের জীবনে আনে নানা পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য সমস্যা, দৈনন্দিন কাজের ধীরগতি, পোশাক-খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন থেকে শুরু করে দরিদ্র মানুষের সংগ্রাম—সব মিলিয়ে শীত হয়ে ওঠে দ্বৈত অভিজ্ঞতার ঋতু। সচেতনতা, সঠিক যত্ন ও জীবনযাত্রায় ছোট পরিবর্তন আনলেই শীতকালকে আরামদায়ক ও নিরাপদভাবে কাটানো যায়। এরকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট Freelancing Express Institute নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url