হযরত ওমর ফারুক (রা.) এর জীবন কাহিনি ও শিক্ষা

হযরত ওমর ফারুক (রা.) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর সাহসিকতা, ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ও শাসনব্যবস্থা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এই আর্টিকেলে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বিস্তারিতভাবে জানুন।
হযরত ওমর ফারুক (রা.) এর জীবন ও ইসলামের ইতিহাস
ইসলামের ইতিহাসে ইসলামের ন্যায়পরায়ণ শাসক এর খেলাফতকালকে স্বর্ণযুগ বলা হয়। ন্যায়বিচার, সমতা ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম রাষ্ট্র শুধু শক্তিশালী হয়নি, বরং সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমুখী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

শৈশব ও বংশ পরিচয়

বিখ্যাত সাহাবিদের নামের কথা বলতে হলে প্রথমেই মনে পড়ে ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) এর কথা। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। ইসলামের ইতিহাসে তিনি একজন সাহসী সৎ ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে পরিচিত। তার শৈশব কেটেছে মক্কা নগরীতে। ছোট থেকেই তিনি ছিলেন বুদ্ধিমান ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি লেখাপড়া, কুস্তি, তীরন্দাজি ও বাগ্মিতায় পারদর্শী ছিলেন। সেই সময়ে আরব দেশে বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত ছিলো কিন্তু শিক্ষিত অনেকের মাঝে ওমর ফারুক ছিলেন একজন। যুবক বয়স থেকেই তিনি কুরাইশদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিতেন।

তিনি সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী ছিলেন যার জন্য তিনি ফারুক উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি বনি আদি বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার মাতা হাশিম যিনি কুরাইশ গোত্রের হাশিম শাখায় ছিলেন। তিনি ছোট থেকেই প্রচুর পরিশ্রমি ছিলেন। তিনি মাঝারি পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার পেশা ছিলো ব্যবসা করা তিনি বাণিজ্য করার জন্য দেশের বাহিরে যেতেন। তিনি কবিতা চর্চায় ও পারদর্শী ছিলেন। অর্থাৎ বলা যায় যে, সকল ধরনের কাজ তিনি পারদর্শী ছিলেন।

ইসলাম গ্রহণের ঘটনা

ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আবেগপূর্ণ ও নাটকীয় একটা ঘটনা হলো ওমর ফারুক (রা.) এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘটনা। মুসলিম উম্মতের জন্য বিশাল শক্তির উৎস ছিলেন ওমর ফারুক। তিনি ছিলেন ইসলামের তীব্র বিরোধী একজন ব্যক্তি। তিনি মুহাম্মদ (সা.) ও তার অনুসারীদের কঠোরভাবে বিরোধিতা করতেন। তিনি কুরাইশ বংশের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে তিনি ইসলাম ধর্ম কে সমাজব্যবস্থার জন্য হুমকি মনে করতেন। তিনি অত্যন্ত রাগী ছিলেন। একদিন তিনি মুহাম্মদ (সা.) কে হত্যা করার জন্য তলোয়ার নিয়ে ও বেড়িছিলেন।

হঠাৎ পথে একটা লোকের সাথে দেখা হয় তখন লোকটি ওমর কে জিজ্ঞাসা করে তুমি তলোয়ার নিয়ে কোথায় যাচ্ছো তখন ওমর ফারুক বলেন আমি মুহাম্মদ কে হত্যা করতে যাচ্ছি। লোকটি তখন বললেন, তোমার বোন ও তার স্বামী ও তো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে আগে তাদেরকে হত্যা করো। তখন তিনি নিজের ঘরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হলেন। ঘরে ঢুকতেই তিনি তার বোন ফাতেমার মুখে কোরআন পড়ার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি কুরআনের আয়াত শুনে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। তখন তিনি সোজা রাসুল (সা.) এর দরবারে চলে গেলেন। তারপর তিনি সেখানেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নেন।

নবী (সা.) এর সাহচর্যে জীবন

ইসলামের ইতিহাসে এক অমূল্য সম্পদ হলো হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব এর জীবন। নবী (সা.) এর সাহচর্যে তার নাম উল্লেখযোগ্য। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তিনি মহানবী (সা.) এর পাশে ছিলেন এবং দিন-রাত প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর একজন ঘনিষ্ঠ সাহাবী ও বন্ধু ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রকাশের জন্য ওমর ফারুক (রা.) এর সাহসিকতার অবদান অনেক বেশি। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকে সকলে ইসলাম ধর্ম প্রকাশ করতে অনেক সাহস পেয়েছিলো। তিনি সব সময় সকলের সামনে কাবা শরিফে সালাত আদায় করতেন।

এরকম সাহস তার মাঝে প্রথম দেখা গিয়েছিলো। মুসলিমের মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিলো মুসলিম হওয়ার পর। নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন যে, আল্লাহ ওমর ফারুক বা আবু জাহলের মধ্যে যে কোনো একজন কে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের তৌফিক দেও। ওমর ফারুক ছিলেন ঘনিষ্ঠদের মধ্যে একজন। নবী (সা.) কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার সাথে পরামর্শ করতেন। তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ও কঠোর নীতির অধিকারী। রাসুল (সা.) বলেছিলেন যে, আমার পর যদি কোনো নবি বা রাসুল পৃথিবীতে এসে থাকে তাহলে সেটা হবেন ওমর ফারুক (রা.)।

হিজরতের সময় ভূমিকা

হিজরত অর্থ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করা। মক্কা থেকে মদিনায় রাসুল (সা.) ও তার সাহাবিদের ইসলাম ও ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য স্থানান্তর করাকে হিজরত বলা হয়। এই কঠিন সময়ে অনেক সাহাবী মক্কা ত্যাগ করেন। কিন্তু ফারুক উপাধি পাওয়া ব্যক্তি মক্কা ত্যাগ করেন নি। তার মাঝে ঈমানের আত্মবিশ্বাসের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলো। কুরাইশরা সাহাবিদের উপর চরম অত্যাচার করে এবং নির্যাতন করে। এজন্য অনেকে মক্কা থেকে গোপনে হিজরত করেছিলেন। কিন্তু ওমর ফারুক (রা.) ছিলেন ব্যতিক্রম। সে সকলের সামনে ইমানের দাওয়াত দিয়েছেন।

তিনি কাবা শরিফে যেয়ে তাওয়াফ করেছেন। খোলাখুলি ভাবে হিজরত করেছেন। কুরাইশদের সামনে দাড়িয়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি তার মাকে সন্তানহারা করতে চায়, স্ত্রীকে বিধবা করতে চায় এবং সন্তানকে এতিম করতে চায়, সে যেন আমাকে মক্কা সীমান্তের বাইরে এসে বাধা দেয়। তার অটল ইমান এবং ইসলামের প্রতি তীব্র ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছিলো। তিনি নিজেও হিজরত করেছেন এবং অন্য কেউ হিজরত করার জন্য মদিনায় যাওয়ার সময় সাহায্য করেছেন। হিজরতের সময়ে তার ভূমিকা ইসলামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটা অধ্যায়। তীব্র ইচ্ছে এবং সৎ ভাবে কাজ করলে কোনো শক্তি যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, হিজরতের মাধ্যমে তিনি তা প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন।

খেলাফত লাভ ও শাসন ব্যবস্থা

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত ছিলো তার খেলাফতকাল (৬৩৪ খ্রি:-৬৪৪ খ্রি:) পর্যন্ত সময়কাল। ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরির জন্য তিনি সুপরিচিত ছিলেন। আবু বকর (রা.) এর ইচ্ছে অনুসারে সকল মুসলমানরা তাকে খলিফা হিসাবে গ্রহণ করেন। তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৩ হিজরি ৬৩৪ সালে। তার শাসনব্যবস্থা ছিলো দৃষ্টান্তমূলক। তার বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ছিলো। নিজে ও অনেক সময় সুষ্ঠু ভাবে অনেক বিষয় আলোচনা করেছেন। মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি বায়তুল মাল গঠন করেন।

বায়তুল মাল গঠনের মাধ্যমে তিনি বিধোবা, গরীব, মিসকিন ও এতিম লোকদের কে সহায়তা প্রদান করে গেছেন। তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাস্তা ঘাট, সেতু, মসজিদ ও হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। পানির ব্যবস্থা ও ডাক ব্যবস্থা ও চালু করেছেন। তার শাসন ব্যবস্থা ছিলো সকালের থেকে ভিন্ন রকম। তিনি নিজের তীব্র ইচ্ছে নিয়ে ও সৎ ভাবে ইসলামের জন্য এবং মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সকলের এবং দেশের উন্নতির জন্য সেনাবাহিনীর সংগঠন করেছিলেন। অতএব, আমরা বলতে পারি তার শাসনব্যবস্থা,ন্যায়বিচার ও দক্ষতা বিশ্বের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
  

ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার

ইসলামের ইতিহাসের মহান নেতা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তার শাসনব্যবস্থার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সবাই কে সমান চোখে দেখেছেন এবং আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এই কথাটা তার শাসনব্যবস্থায় চালিয়ে গেছেন। ধনী- গরীব, হিন্দু, মুসলিম এবং সাধারণ জনগণ সবাই এক চোখে দেখেছেন। যে অন্যায় করতো তাকে তিনি শাস্তি দিতেন। কেউ কখনো অন্যায় করলে তাকে তিনি কখনো প্রশ্রয় দিতেন না। এমনকি নিজের পরিবার অন্যায় করলেও তিনি কখনো প্রশ্রয় দেননি। উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। নিজের প্রিয়জন, কাছের লোক অর্থাৎ আত্মীয় স্বজন যদি কোনো অন্যায় করতো তাহলে তাদের ও শাস্তি প্রদান করতেন।

অত্যাচারের অভিযোগে একজন গভর্নর কে তার সময়ে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। সুষ্ঠু ভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য তিনি বিচারক নিয়োগ করেন। তাদের মাধ্যমে স্বাধীন ভাবে সকল কিছু পরিচালনা করতেন। গরীব, এতিম এবং মুসাফিরের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন তাদের কে ভাতা প্রদান করতেন। শাসনব্যবস্থা কে মজবুত ও কার্যকর করার জন্য তিনি অনেক গুলো প্রশাসনিক সংস্কার করেন। তিনি প্রতিটি দেশে আমির অর্থাৎ গভর্নর নিয়োগ করেন। ইসলামী সাম্রাজ্য কে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করে দেন।

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তিনি তাদের মাঝে বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। সকল রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য তিনি বায়তুল মাল গঠন করেন। হিজরি সনের সূচনা করেছিলেন প্রশাসনিক কাজ সহজ করার জন্য। গভর্নর, বিচারক ও আমির সকলকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য লোক পাঠাতেন। কারোর কোনো সমস্যা হলে তিনি তদন্ত করে সমাধান করে দিতেন। ডাক ব্যবস্থা ও রাস্তা নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতেন রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। স্থায়ী সেনাবাহিনী গঠন করেন। সৈনিকদের তালিকা গঠন করেন। ইসলামের ইতিহাসে ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক সংস্থার এ তার অবদান উল্লেখযোগ্য।

ইসলামী রাষ্ট্রের বিস্তারে অবদান

ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তারে পারস্য সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে যায় এবং মুসলমানদের অধিনে চলে আসে। ৬৩৬ সালে কাদিসিয়া যুদ্ধ এবং ৬৪২ সালে নাহাওয়ান্দ যুদ্ধ শুরু হয় যার মাধ্যমে পারস্য পুরোপুরি ভাবে পরাজিত হয়। মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে মিসর, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন এই তিনটা রাষ্ট্র চলে আসে। ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে যার্মূক যুদ্ধ চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয়। প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের জন্য তিনি প্রথমে প্রদেশ ভিত্তিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করেন। বিভিন্ন অঞ্চলে আমির ও কাজী নিযুক্ত করেন। ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেন নতুন নতুন জায়গায়। অমুসলিম দের কে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে ইসলামের দিকে নিয়ে আসেন। সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সুষ্ঠু ব্যবস্থা চালু করেন। যার যার ধর্ম সুন্দর ভাবে পালনের জন্য স্বাধীনতা দেন। সুতরাং বলা যায়, তার নেতৃত্ব শুধু ইসলামের বিস্তার ই হয়নি বরং একটা শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে। যা প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য অনুকরণীয় বিষয়।

শাহাদাত ও উত্তরাধিকার

হযরত ওমর ফারুক (রা.) ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে ২৩ হিজরিতে ফজরের নামাজ পড়তে দাড়ান এবং তখনই আবু লু লু ফিরোজ নামে একজন মজদূর ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। ছুড়ির আঘাতে তিনি আহত হন। কিছুদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন তারপর শহীদ হন। মৃত্যুর আগে তিনি তার জীবন ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে জবাবদিহি,আমানতদারী ও ইনসাফের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর আগে তিনি কখনো কাউকে সরাসরি খলিফা নিযুক্ত করেননি। বরং তিনি একটা ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরামর্শ পরিষদ গঠন করেন এবং তাদেরকে নির্দেশ দেন, যে তারা তিন দিনের মধ্যে পরবর্তী খলিফা নির্বাচন করেন। তার শাহাদাত ছিলো ইসলামের ইতিহাসে একটা গভীর বেদনাদায়ক বিষয়। তিনি ইনসাফপূর্ণ প্রশাসন,সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা এবং পরবর্তী খলিফাদের জন্য উদাহরণ।

হযরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে শিক্ষণীয় বিষয়

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা) এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিলো ন্যায়বিচারে আপসহীনতা। তিনি কখনো কাওকে ছোট চোখে দেখতেন না। কারোর কখনো কোনো ভুল হলে বা কেউ কোনো অন্যায় করলে তিনি সকলের ক্ষেত্রে সমান আইন প্রদান করতেন। তিনি খলিফা ছিলেন কিন্তু তার জীবনযাপন খুবই সাধারণ ছিলো। তার নেতৃত্বের মূল ভিত্তি ছিলো খোদাভিতি। নিজের কাপর তিনি নিজেই সেলাই করে পরিধান করতেন। ইসলামী রাষ্ট্রে বিচারক নিয়োগ, রেজিস্ট্রার প্রতিষ্ঠা সকল কিছু তার উদ্যোগের মাধ্যমেই হয়। অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীলতা দেখিয়েছেন। ওমর ফারুক (রা.) এর জীবনি থেকে আমরা এই শিক্ষা নিতে পারি যে, কীভাবে ইনসাফ ও আমানতকারীদের সাথে জীবন পরিচালনা করতে হয়।
দ্বিতীয় খলিফা এর জীবন আমাদের শেখায় ন্যায়পরায়ণতা, সত্যের প্রতি অবিচল থাকা এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার গুরুত্ব। তাই আজ থেকেই তাঁর শিক্ষাকে জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন এবং ইসলামি ইতিহাস জানার আগ্রহ বাড়ান। যদি আর্টিকেলটি উপকারী মনে হয়, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং ইসলামের মহান সাহাবিদের জীবনী সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্রিল্যান্সিং এক্সপ্রেস ইন্সটিটিউটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url